Monday , December 23 2024
Breaking News
Home / অপরাধ / অভিজিৎ হত্যা- মেজর জিয়া ও আকরামের তথ্যের জন্য ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

অভিজিৎ হত্যা- মেজর জিয়া ও আকরামের তথ্যের জন্য ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

২০১৫ সালে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে ‘মেজর জিয়া’ এবং আকরাম হোসেনের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য ৫০ লাখ ডলার (প্রায় ৪৪ কোটি টাকা) পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস কর্মসূচির এক টুইট বার্তায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে মেজর জিয়া ও আকরামের ব্যাপারে কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা জানাতে একটি ফোন নম্বর দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, ওই হত্যা মামলায় বাংলাদেশের একটি আদালতে ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেয়া হয়েছে হামলায় তাদের ভূমিকার জন্য। ওই আসামিদের মধ্যে দুজন- সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া এবং আকরাম হোসেনের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছিল এবং তারা এখনো পলাতক।

ওই টুইট বার্তার সঙ্গে প্রচারিত এক পোস্টারে মেজর জিয়া, আকরাম হোসেন বা হামলার সঙ্গে জড়িত অন্যদের সম্পর্কেও কোনো তথ্য থাকলে তা শেয়ার করার অনুরোধ করে যুক্তরাষ্ট্র। তারা এ সংক্রান্ত সিগন্যাল, টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারও দিয়েছে। তাতে বলা হয়, সেক্ষেত্রে আপনিই পুরস্কার পেতে পারেন।

২০১৫ সালে জঙ্গি হামলায় নিহত হন ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়।

পোস্টারের শিরোনামে বলা হয়, ‘রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস ৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তথ্যের জন্য।’

পোস্টারের নিচে বাম দিকের কোণায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নাম ও প্রতীক, ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস ও রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিসের নাম রয়েছে। রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস হচ্ছে সন্ত্রাস দমনের কাজে ভূমিকার জন্য পুরস্কার দেয়ার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি কর্মসূচি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা সম্পত্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা।

এ কর্মসূচির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন কোনো তথ্যের জন্য কাউকে পুরস্কৃত করতে পারেন, যার ফলে: আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা বা করার চেষ্টা, অথবা এর পরিকল্পনা বা সহায়তার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার বা দোষী সাব্যস্ত করা যায়।

এরকম কোনো ঘটনা ঘটা ঠেকানো যায়, কোনো গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসী নেতাকে শনাক্ত বা তার অবস্থান চিহ্নিত করা যায়, অথবা সন্ত্রাসের জন্য অর্থায়নকে বিঘ্নিত করা যায়। এ পর্যন্ত আরএফআই ১০০-ও বেশি লোককে মোট ১৫ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ পুরস্কার হিসেবে দিয়েছে।

About admin

Check Also

১৭ ব্যক্তির অর্থ পাচার অনুসন্ধানে সিআইডি: বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বাকিদের অনুসন্ধান শেষে দ্রুত সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে-সিআইডি প্রধান

জয় ভিশন অনলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *