Monday , December 23 2024
Breaking News
Home / অন্যান্য / কক্সবাজার থেকে সড়কপথে মাদক পরিবহন কমেছে, কক্সবাজার-ঢাকা রুটের ট্রেন চলাচলে; এমনটাই দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর

কক্সবাজার থেকে সড়কপথে মাদক পরিবহন কমেছে, কক্সবাজার-ঢাকা রুটের ট্রেন চলাচলে; এমনটাই দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর

অনলাইন নিউজ:

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম- ঢাকা সড়কপথে হঠাৎ করে কমে গেছে মাদক পরিবহন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করলেও মাদক বহনকারীরা আগের মতো ধরা পড়ছে না। কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল শুরুর পর থেকে সড়কপথে মাদক পরিবহন কমেছে; এমনটাই দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।

কক্সবাজার থেকে ট্রেনে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক পরিবহন ঠেকাতে বিশেষ জোন করার পরিকল্পনার কথা ভাবছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। পাশাপাশি সংস্থাটি কক্সবাজার ট্রেন স্টেশনের প্রবেশপথে যাত্রী এবং মালামালের ভেতর মাদক শনাক্তে আধুনিক ড্রাগ ডিটেকটিং স্ক্যানার বসাতে চাইছে। এমনকি প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াডের সাহায্যে মাদক উদ্ধারে অভিযান চালাতে চাইছে সংস্থাটি। এজন্য প্রয়োজনীয় জনবলসহ সরঞ্জাম চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রধান কার্যালয়ে।

সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে, সড়ক পথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি এড়াতে মাদক পাচারকারী চক্রের একটি অংশ ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক পাচারে ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বেছে নিতে পারে।

এ প্রসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, ‘ট্রেনে মাদক পরিবহন করা হচ্ছে, এ ধরনের তথ্য আছে আমাদের কাছে। কক্সবাজার ট্রেনে যাত্রী উঠলে বাধাহীনভাবে চলে যাচ্ছে ঢাকায়। এতটুকু পথে সড়কপথে অনেক চেকপোস্ট আছে। অথচ ট্রেনে তা নেই। ট্রেনে যাতায়াতকারী সন্দেহজনক যাত্রীদের শরীর এবং ব্যাগ বাধাহীনভাবে আমরা তল্লাশি করতে চাই। এ কাজে সহযোগিতা জন্য রেলওয়েকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে ইয়াবা ঢুকছে কক্সবাজার টেকনাফ হয়ে। কক্সবাজার-ঢাকা রেলপথে মাদকের পাচার ঠেকাতে কক্সবাজার রেলওয়েতে বিশেষ জোন করার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে প্রধান কার্যালয়ে। বিশেষ জোনের জন্য একজন সহকারী পরিচালকসহ ৩২ জন জনবল, একটি ডাবল কেবিন পিকআপ, যাত্রীদের তল্লাশির জন্য পোর্টেবল ও আধুনিক ড্রাগ ডিটেকটিং স্ক্যানার ও এক্সরে মেশিন, প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড চাওয়া হয়েছে।’

সম্প্রতি ট্রেনে তল্লাশি ও অভিযান পরিচালনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়ে দেওয়া চিঠিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলেছে, ‘বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, আইসসহ বিভিন্ন ভয়াবহ মাদক পাচারের প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কক্সবাজার থেকে এ সকল মাদক নিত্যনতুন কৌশলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত চালু হলো আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস। বর্তমানে কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত দুটি বিরতিহীন ট্রেন চলাচল করছে। আরও ট্রেন সার্ভিস বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সড়ক পথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি এড়াতে মাদক পাচারকারী চক্রের একটি অংশ ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক পাচারে ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বেছে নিতে পারে। আগে যারা সড়ক পথ ব্যবহার করতো তারা এখন রেলপথ ব্যবহার করছে; এমন তথ্য আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। বিষয়টি নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন। কেননা কক্সবাজার থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে মাদক নিয়ে বহনকারীরা উঠলে তারা কোন বাধা ছাড়াই ঢাকায় যেতে পারছেন। অপরদিকে সড়কপথে আছে বিভিন্ন সংস্থার নানা কড়াকড়ি। এ কারণে মাদক কারবারিদের কাছে পছন্দ রেলপথ।

About admin

Check Also

আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামল: শীর্ষ লুটেরা টার্গেট করে লুটে নেয় সরকারের সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা জনতা ব্যাংকে

জয় ভিশন অনলাইন: আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের শীর্ষ লুটেরা টার্গেট করে লুটে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *