জয় ভিশন:
তালেবান সরকার ভারতে তাদের আফগান দূতাবাস স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিল।সেই সাথে ভারতে দূতাবাসের সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছে আফগান সরকার। এর আগে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর দূতাবাসের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।
শুক্রবার আফগান সরকারের তরফে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ভারত সরকারের ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ’-এর মুখে তারা দূতাবাস বন্ধের সিন্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য তারা দুঃখিত।
ফলে নয়াদিল্লিতে আফগান দূতাবাস ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ হলো।
এক বিবৃতিতে আফগান দূতাবাসের দাবি, ৩০ সেপ্টেম্বর দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করার পর তালেবান সরকার আশা করছিল, দূতাবাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফের চালু করার জন্য ভারত সরকার অনুকূল অবস্থান নেবে। কিন্তু ভারত তা নেয়নি। বরং, আট সপ্তাহ অপেক্ষা করা সত্ত্বেও, আফগান কূটনীতিকদের ভিসা বাড়ানো হয়নি। ভারত সরকারের আচরণও পরিবর্তন হয়নি।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, দূতাবাসের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার জন্য আফগানিস্তানের তালেবান সরকার ও ভারত সরকার দুই পক্ষই ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল। এই চাপের মুখে দূতাবাসকে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আফগানিস্তানের সর্বোত্তম স্বার্থে ভারতে দূতাবাস বন্ধ করে, দূতাবাসের কর্তৃত্ব তাদের হাতে তুলে দেওয়াই উচিত।
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে অবশ্য অসহযোগিতার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানির আমলে ভারতে নিযুক্ত দিল্লির আফগান দূতাবাসের কর্মীদের তালিবান প্রশাসন সরাতে চাইলেও পারছিল না। এছাড়া কাবুল থেকে টাকাও আসছিল না। এসবের জন্যই বর্তমান আফগান সরকারের দূতাবাসের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে ভারতীয় সূত্রের দাবি।