বৃহস্পতিবার সকালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার সান হাইয়ান গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন ও কৌশলগত অংশীদার আখ্যায়িত করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে মসৃণ করতে বেইজিংয়ের কাছে আরও সহযোগিতার দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে মসৃণ করতে অতীতের চেয়ে চীন আরও বেশি সহযোগিতা করতে পারে।
কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সান হাইয়ান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে শি জিনপিং নিশ্চিত ছিলেন। কারণ, দেশ ও জনগণের প্রতি তার প্রেম এবং তিনি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।’
সান সাইয়ান আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলবে। এ প্রেক্ষিতে ১৯৯১ সাল থেকে তার একাধিক বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
শেখ হাসিনা সান হাইয়ানকে বাংলাদেশের ‘প্রকৃত পরিবর্তন’ দেখতে গ্রামীণ এলাকা ঘুরে দেখার পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী সান হাইয়ানকে বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং দেশবাসীকে উন্নত জীবন দিয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের এখনই সময়। এজন্য তিনি চীনের সহযোগিতা চান।
চীনের ভাইস মিনিস্টার ক্রমবর্ধমান কর্মসূচিগুলো আরো বাড়ানোর মাধ্যমে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।