জয় ভিশন:
কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে এক তরুণী চিকিৎসককে হাসপাতালের ভেতরেই ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ। ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তির ফাঁসির দাবিতে এবার রাস্তায় নামছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ৪টায় মিছিল নিয়ে বের হওয়ার কথা রয়েছে মমতার। সেইসঙ্গে অভিযুক্তের আগামী রোববারের মধ্যে ফাঁসির ব্যবস্থা করার জন্য দেশটির তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল ১৭ এবং ১৮ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে ধরনা কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। গত বুধবার মমতা নিজেই এই কর্মসূচির কথা জানান।
সেইদিন মমতা বলেন, আমি মামলাটি ফাস্ট ট্রাক আদালতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। যদিও আমি মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নই, তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অভিযুক্তদের ফাঁসি দেওয়া হবে। তাদের কঠোরতম শাস্তি পাওয়া উচিত।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলছেন, সিবিআই তদন্ত হোক বা যেকোনো তদন্ত হোক, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কারণ রাজ্য সরকারের কিছু লুকানোর নেই। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মমতা ব্যানার্জি এর আগে সিবিআই তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন এবং ঘটনার রাজনীতি করার জন্য বিরোধী দলগুলির সমালোচনা করেছিলেন।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দাবী, “রবিবার (১৮ আগস্ট) মধ্যে, সিবিআইকে দোষীদের ফাঁসিতে সুবিধা দিতে হবে এবং পুরো তদন্ত শেষ করতে হবে৷ আমাদের কলকাতা পুলিশ ৯০% তদন্ত সম্পন্ন করেছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই মামলায় সিবিআই তদন্তের অনুমতি দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের আদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। ব্যানার্জি ঘটনার রাজনীতি করার অভিযোগে বিরোধী CPI(M) এবং বিজেপিরও সমালোচনা করেছেন। “আমরা মেনে চলব। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এবং সিবিআই-কে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া। মামলাটি সিবিআইকে হস্তান্তর করা নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই কারণ আমরা এটি দ্রুত সমাধান করতে চাই,” তিনি বলেছিলেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১৩৮ বছরের পুরোনো আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা ঘিরে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশ থেকে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থার বিলোপের লক্ষ্যে গত বুধবার ভারতের স্বাধীনতা দিবসের রাতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ পালনের ঘোষণা দেন দেশটির নাগরিকরা। ‘মেয়েরা রাত দখল করো’ নামের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ভারতজুড়ে পালন করার ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা। ইতোমধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এই আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ-সমাবেশ শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে এই মামলার প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভকারী।