নিউজ ডেস্ক:
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বন্যাদুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে ও বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে সম্ভাব্য সবকিছু করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সবার প্রচেষ্টায় বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।
সোমবার (২৭ জুন) নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরীতে বন্যার্তদের মাঝে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত থেকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জন্মভূমি খালিয়াজুরীর মানুষদের উদ্দেশ্যে কথা বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এখানকার মানুষের লড়াই আমি জানি, আমিও লড়াই করেছি। হাই স্কুল না থাকায় ৫৩ বছর আগে ২৫ কিলোমিটার দুরের স্কুলে পড়ালেখা করতে হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম এখানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ দেশনেতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনগণকে ও গ্রামকে গুরুত্ব দিয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে পুনঃস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। ভিস্যাট হাব স্থাপনের পাশাপাশি এরই মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ মোবাইল টাওয়ার সচল করা হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া টেলিফোন একচেঞ্জগুলোও সচল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অকালের বন্যা রোধে নদী-খাল-বিল খননে ১ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। হাওড়ের মানুষদের জন্য সাবমার্সিবল সড়কের বদলে উড়ালসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এরই মধ্যে মধ্যনগর থেকে তাহিরপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার উড়াল সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। খালিয়াজুরীকে উড়াল সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর জন্য হুয়াওয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এছাড়া বানভাসিদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিসের সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাব্বানী জব্বার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম, মেজর জিসানুল হায়দার, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের বোর্ড সদস্য লিও জেনসেন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু ইসহাক প্রমুখ।