নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ১৮৬ জন এবং মারা গেছেন ১১১ জন। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৭৭২ জন এবং মারা গেছেন ২১০ জন।
সর্বমোট গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৬৯ জন। ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৩৪ জন।
আজ ১৭ নভেম্বর সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ কোটি ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩১১ জনে। এর মধ্যে ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ৩০২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া, ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৭৮ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৫৮৭ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৮০ জন এবং মারা গেছেন ৬৩ জন। ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন। তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৬৯২ জন এবং মারা গেছেন ৬৯ জন। হাঙ্গেরিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৩১ জন এবং মারা গেছেন ৭৩ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ৪১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৮৯ জন।
২০১৯ সালের শেষ দিকে শুরু হওয়া এই মহামারিতে হতাহতের দিক দিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে গত এখন পর্যন্ত মোট ১০ কোটি ১৫ লাখ ২২৯ হাজারের বেশি জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১১ লাখ ৯৮৫ জনের।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৯৮ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৫ লাখ ৩০ হাজার ৫৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তৃতীয় স্থানে উঠে আসা ফ্রান্সে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৭২ লাখ ১৭ হাজার ৩৯ জনের। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার জনের।
এছাড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে এমন দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ব্রাজিল, পঞ্চম জার্মানি এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
কয়েকদিন ধরে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হচ্ছে জাপানে ও দক্ষিণ কোরিয়ায়। বিশ্বে যখন করোনার চিত্র নিম্নমুখী, তখন দেশটিতে নতুন করে ঢেউ শুরু হয়েছে।
মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। যদিও মহামারি কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পৃথিবী। তবে কিছু কারণে অনেক দেশই এখনো করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তিত।