বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা নামটি শুনলেই অনেকে নড়েচড়ে বসেন। এ প্রতিযোগিতা নিয়ে আগ্রহ নেই এমন মানুষ কমই খুঁজে পাওয়া যায়। ২১ বছর পর আবারও মিস ইউনিভার্স পেল ভারত। বিশ্বসুন্দরীর মুকুট পেয়ে ভারতের অনেকে যখন আনন্দে মেতেছেন, তখন প্রতিযোগিতার অন্য আরেকটি দিক তুলে ধরেছেন দ্য হিন্দুর সহযোগী সম্পাদক বৈষ্ণ রায়। এমন মনে হওয়ার কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন বৈষ্ণ রায়। বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপগুলো অর্থহীন এবং প্রতিযোগীদের জন্য বেদনাদায়ক বলে মনে করেন তিনি। সেখানে সব প্রতিযোগীই একই রকম সাজে, পোশাকে থাকেন। তাঁদের শারীরিক গড়নও প্রতিযোগিতার শর্ত অনুসারে একই রকম হয়। বিশ্বসুন্দরীদের পোশাকও হয় পশ্চিমা আদলে। পাশ্চাত্যে যেটি সৈকতের পোশাক, সে ধরনের পোশাকেই থাকেন প্রতিযোগীরা। প্রতিযোগিতার একমুহূর্তে যখন ভারতের বিশ্বসুন্দরী হারনাজ সান্ধুর সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা চলছিল, তখন তিনি বলেন, এর বাইরে পৃথিবীতে আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। তা নিয়ে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু বৈষ্ণ রায় লক্ষ করেছেন, পৃথিবীর অন্য অনেক সংকটের কথা বললেও ইসরায়েলে বসে ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে কথা বলতে ভুলে যান হারনাজ। এবার ইসরায়েলের এইলাটে বসেছিল ৭০তম মিস ইউনিভার্সের আসর। কিন্তু ফিলিস্তিনে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ ও সেখানকার সংকট নিয়ে প্রতিযোগী বা আয়োজকদের কেউই কোনো কথা বলেননি। বৈষ্ণ রায় লক্ষ করেছেন, সেখানে কয়েকজন প্রতিযোগী ফিলিস্তিনের পোশাক পরেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ফিলিস্তিনের খাবারও ছিল। কিন্তু ছিল ইসরায়েল হ্যাশট্যাগ। বৈষ্ণ রায়ের মতে, এভাবে তাঁরাও ফিলিস্তিনকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন।
Check Also
বাংলাদেশে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ১৭ লাখ: ইউএনডিপি’র প্রতিবেদন
জয় ভিশন অনলাইন: জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)’র মতে বাংলাদেশে বর্তমান অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা চার …