স্থানীয় সময় বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুষ্ঠিত ‘ফিউচার প্রুফিং ট্রাস্ট ফর সাস্টেইনিং পিস’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বক্তব্যে এমন প্রত্যাশার কথা জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত।
গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে প্রায় ছয় বছর আগে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক। এই সংকট নিরসনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং ক্রমাগত নীরব ভূমিকা পালন করছে। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করা এই সংস্থাটির আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক প্রেস রিলিজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাঝে বিশ্বাস অর্জনের নিমিত্তে পরিষদকে আরও বেশি সক্রিয় হওয়া আবশ্যক। বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে শান্তিরক্ষীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) এ সংক্রান্ত ম্যান্ডেট আরও জোরদার করার আহ্বান জানান। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় পিবিসির পরিপূরক ভূমিকা গ্রহণের জন্য পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান।
দুই মেয়াদের জন্য পিবিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ কমিশনের সম্ভাবনাকে অধিকতর প্রসারিত করার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
মে মাসে সুইজারল্যান্ড নিরাপত্তা পরিষদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। দেশটি পরিষদে তার প্রথম সভাপতিত্বের একটি স্বাক্ষর ইভেন্ট হিসাবে একটি উচ্চপর্যায়ের উন্মুক্ত বিতর্কের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগনাজিও ক্যাসিস।