প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে চিঠি লেখেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই চিঠির জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আজ সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো মূল চিঠি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হোয়াইট হাউসে পৌঁছে দেবেন। গতকাল (রোববার)বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ককে কীভাবে নতুন উচ্চতায় নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চিঠিটির একটি অনুলিপি তাদের হাতে (যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল) হস্তান্তর করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রী সেই চিঠির বর্তমানে জবাব দিয়েছেন।
গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে দেখা করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এলিন লাউবাকের নেতৃত্বাধীন দেশটির প্রতিনিধিদল।
প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে বাইডেন লিখেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরু পর্বে আমি বলতে চাই, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ আরও অনেক ইস্যুতে আমাদের প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করার ঐকান্তিক ইচ্ছা আমি তুলে ধরছি।’
জো বাইডেন আরো লিখেছিলেন, ‘সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে। আর এই সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে আমাদের দুই দেশের জনগণের শক্তিশালী সম্পর্ক।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর চিঠিতে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থন এবং একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন স্বপ্নপূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’